
ঋষিকেশ বাবু : বিশাল মনের এই মানুষটি ছাত্রদের নিজের ছেলের মতন ভালোবাসতেন। বাংলা পড়াতেন আর তার মাঝে মাঝে গল্প বলতেন যার রেশ আজও প্রাক্তন ছাত্রদের মধ্যে রয়েছে । স্কুলের যেকোনো প্রোগ্রাম , যেমন সরস্বতী পুজো ভোজনের লাইন সামলানো অথবা কাছারি ময়দানে Inter-School ফুটবল competition-এ ছাত্রদের সামলানো, উনি ছাতাটি লাঠির মতন উঁচিয়ে হাসিমুখে সব ঠিক রাখতেন।
DPC: অংকের বিভীষিকা সহজ করতে যার জুড়ি মেলা ভার। নিপাত ভদ্র ওর অত্যন্ত বিনয়ী বললে ওনার সম্বন্ধে কম বলা হয়।


মুকুল বাবু : যিনি বায়োলজি ল্যাব করাতে গিয়ে ব্যাঙ কাটা শেখাতেন আবার প্রথম বার কাটাকুটি দেখে কোনো ছাত্র অজ্ঞান হয়ে পড়লে, তাকে সুস্থ করে, ওনার সাইকেল এ চাপিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসতেন।
চিত্ত বাবু: দেখা হলেই যিনি কথা শুরু করতেন হাত এ বেতের বাড়ি দিয়ে। আর দোষ করলে সেই বেতের বাড়ি কয়েক দিন ধরে মনে থাকত। যিনি আমাদের শুধু খেলা শেখান নি, বরং কিভাবে সুশৃঙ্খলভাবে লাইন করে দাঁড়াতে হয় তও হাতে কলমে শেখাতেন।
বিষ্ণু বাবু: কোনো ছাত্র কয়েক দিন স্কুল কামাই করলে তিনি বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নিতেন। ছাত্রদের অভিভাবকদের চিনতেন এবং পড়াশুনার ঘাটতি হলে তার পূর্ণ সদব্যবহার করতেন। যেকোনো স্কুলের প্রোগ্রাম যাকে ছাড়া ভাবা যেতোনা।
গোবিন্দ বাবু: স্কুলের শিক্ষকতার মাঝে, বারাসাত সুভাষ ক্লাব ও সুভাষ লাইব্রেরি গড়ে তোলার পিছনের মানুষটি এই গোবিন্দ স্যার।
AKB (Shri Ajit Kumar Biswas): ভূগোল পড়াতেন অত্যন্ত যত্ন নিয়ে আর তার মাঝে সেনাবাহিনীতে ওনার অভিজ্ঞতা জানার সুযোগ পেতাম। 2022 সালে Sir আমাদের ছেড়ে অমৃতলোকে চলে গেলেন।
